ভাবতে লাগলাম কি অদ্ভুত এক শহর। কোথাও লোকজন নেই। রাস্তাঘাট একদম ফাকা। এতক্ষণ ধরে কোন গাড়ি যেতে দেখলাম না। যাদের সাথে দেখা হল ওদের ব্যবহারও অদ্ভুত। শেরিফের আচরণও সন্দেহজনক।
একদিকে Alice আমাকে অচেনা জেনেও এত কাছে চলে আসে। অন্যদিকে এক মেয়েকে কফিশপের কথ জিজ্ঞেস করতেই দুর্ব্যবহার করে চলে যায়। strange Very Strange!!
ভাবতে লাগলাম কত বড় হতে পারে এই শহরটা। মনে হয় বেশি বড় না। খুবই খিদে পেয়েছে আমার তাই আমি নিজেই নাহয় কফিশপ খুজে বের করবো দেখি৷
এমন সময় একটা সুন্দরী মেয়ে কাছে এলো আমার। আমি দাড়ালাম। মেয়েটি বলল
– Hi!
– Hey!
– Hmmm. Who are you, why are you here and where did you come from??
– ওরে ভালা! এক দমেই এত প্রশ্ন। যাইহোক আমি অভিক. nice to meet you & You are?
– I’m Grace. nice to meet tou too. Why are you here?
– Actually, আমার একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল এবং এর জন্যই এই শহরে আসা।
– Uhh. So you are virgin!? hihi!!
– (আমি অবাক হলাম প্রশ্ন শুনে) Not that It’s any of your business but I’m not Virgin!
– ok leave it. Do you want to get some coffee?
– Actually I’m starving. I need some food..
– ওকে আমার সাথে চলো
আমি Grace এর সাথে চলতে লাগলাম
– আমি ভার্জিন কি না প্রশ্নের মাধ্যমে কি বুঝাতে চেয়েছিলে?
– নাথিং হিহি
– এই শহরের সবাই ই আমার সাথে আজব ব্যবহার করছে কিন্তু কেনো? প্লিজ Don’t be like them!
– ধৈর্য ধরো। সব বলবো। আগে কফিশপে গিয়ে একটু বসি
– ওকে
– তোমাকে প্রথমেই বলে রাখি কফিশপের ভেতর দুটা Bitches দেখতে পাচ্ছি। যথাসম্ভব ওদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখো। Don’t get involved with them!
– okay
আমি ও Grace কফিশপে ঢুকলাম। দেখি ২টা মেয়ে আমাকে নিয়ে কথা বলছে যে “ঐ দেখো Creep টা এখানে চলে এসেছে,
আমাদের ওর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে” বলে দুজনই আমাকে ধাক্কা দিয়ে get out you freak বলে চলে গেল।
– What the hell ladies??
Grace বলল, “অভিক Don’t think about them. come sit here.”
আমি Grace কে বললাম
– এখন তুমি আমাকে এই অদ্ভুত শহর ও এইসব মেয়েদের অদ্ভুত আচরণ সম্পর্কে বলো
– ঠিক আছে। But I’m curious. How are you Alive?
– আমার এক্সিডেন্ট ততটা মারাত্মক ছিলনা!
– Not that. Look this town is messed up. কিভাবে বুঝাবো তোমায়! কয়েকবছর আগে এই শহরে অদ্ভুত এক জিনিস শুরু হয় যা আজও চলমান!
– মানে?!
– এই শহরের পুরুষেরা হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে শুরু করে। বিশেষ করে কম বয়সী ছেলেরা। তারা অদৃশ্য হয়ে যেতে লাগে।
– Died!?
– No. তারা একদম হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। একদম অদৃশ্য!
– Are you messing with me!?
– তুমি আমায় বিশ্বাস করছো না! না করারই কথা। কেননা এই শহরে Sheriff ও কয়েকজন বুড়ো ব্যতিত কোন যুবককে দেখতে পাবেনা। ওরা সবাই অদৃশ্য হয়ে গেছে! যখন আমরা এই বিপদে পরলাম তখন আমরা সবাই এই শহর ছেড়ে পালাতে লাগলাম কিন্তু আমরা কেউই তা পারলাম না!
– কেনো?
– এইটা আরো অদ্ভুত বিষয় কেননা যতবারই আমরা শহরের শেষ প্রান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছি ততবারই আমরা শহরের অন্যপ্রান্তে নিজেদের আবিষ্কার করেছি।
– Omg. is it true??
– হ্যা। আমরা শতবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এরপর থেকেই আমরা এই শহরে বন্দী বলা যায়!
Grace এর কথা শুনে আমি ভাবলাম “ওয়াও আমার নেক্সট উপন্যাসের জন্য এই গল্প পারফেক্ট হবে। অভিশপ্ত শহর, লোকেদের অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, শহর ছেড়ে পালাতে না পারা!”
– তুমি ভেবেছো কেন ঐ মেয়েরা তোমার সাথে খারাপ আচরণ করছিল। কেননা ওরা গত কয়েকছর ধরে কোন পুরুষ দেখেনি। তাই ওরা তোমাকে হটাত দেখে মনে করেছে তুমিও অদৃশ্য হয়ে যাবে। এবং তোমার মাধ্যমে ওরা সবাইও অদৃশ্য হয়ে যাবে!
তাছাড়া শেরিফ কি তোমায় বুনো ভালুকের কাহিনি বলেছিল!?
– হ্যা। বলেছে পাহাড়ি এলাকা থেকে বন্য ভালুক নাকি শহরে চলে আসে।
– সব মিথ্যা!
– সে আমাকে মিথ্যা কেন বলবে?
– কেননা যাতে করে তুমি আতঙ্কিত হয়ে না পড়ো। সে হয়তো ভেবেছে
দু একদিনের মধ্যে তুমিও অদৃশ্য হয়ে যাবে!
Grace এর কথার ফাকে একটা মোটা Chubby মেয়ে এলো আমাদের কাছে। মনে হলো সে কফিশপের owner..
– Hi. I’m Milie. I’m here for orders.
– Hi Milie.I’m Avik. আমি পিজজা ও এক গ্লাস কোক নিতে চাই
– সর্যি আমাদের এখানে শুধু বার্গার ও কফি পাওয়া যায়
– হোয়াট! শুধু দুই আইটেম?
– গত ১ বছর যাবৎ এখানে কোন খাবারের গাড়ি আসেনি। কিছুদুন আগে শহরের শেষ প্রান্তে আমরা একটা বার্গার ও কফির প্যাক ভর্তি
ট্রাক পাই। তা দিয়েই নিয়মিত আমাদের খাওয়া চলছে।
– Milie আমার ও অভিকের জন্য দুইটা বার্গার।
Milie আমাকে ও Grace কে বার্গার দিয়ে গেল।
– তো তুমি লাইফে কি করছো?
– আমি একজন লেখক
– ওয়াও। আমাদের Pine Falls এর কাহিনি নিয়ে লিখতে পারো।
– আমিও তাই ভাবছিলাম
– তারমানে আমার কথা তোমার বিশ্বাস হয়েছে।
– not exactly…
– whatever. আমাকে প্রমিস করো যে রাতের বেলা তোমার ঘর থেকে বের হবে না
– কেন? ভালুকের জন্য? তুমি না বললে ভালুকের কথা মিথ্যা।
– না। that’s something else. Something strange happens at night..
– ওহ তাহলে তো আমি অবশ্যই বের হবো। এই রহস্যের কিনারা করতেই হবে!
আমি কথা বলার সময় আবার Milie এলো কফির অর্ডার নিতে।
বললো ব্লাক নাকি দুধ কফি।
Grace আমায় আস্তে আস্তে দুধ কফি নিতে মানা করলো। তবুও আমি দুধ কফিই অর্ডার দিলাম।
Grace বললো সে ব্লাক কফি নিবে
Milie কফির অর্ডার নিয়ে চলে গেল।
– তোমাকে মানা করলাম দুধ কফি অর্ডার না দিতে!
– কেনো! আমি ব্লাক কফি খাইনা
– তুমি যে দুধ কফি অর্ডার করলে
কিসের দুধ দিয়ে কফি বানায় জানো। Milie ওর নিজের Boobs টিপে দুধ বের করে দুধ কফি বানায়।
– Are you kidding??
– Let me show YOU!
Grace আমায় শপের পিছনে নিয়ে গেল। বললো দেখো!
দেখলাম সত্যিই Milie ওর ৩৮/৪০ সাইজের Boobs টিপে দুধ বের করে তা কফির কাপে ঢালছে!
– Eww!
– দেখলে কেন মানা করেছিলাম। এখন সে দেখে ফেলার আগেই চলো চলে যাই
Milie কফি নিয়ে আসলো। Grace বললো তো কি করবে কফি খাবে নাকি!?
আমি Grace কে অবাক করে দিয়ে Milie’র দুধ দিয়ে বানানো
কফিই খেতে লাগলাম।
Grace অবাক হয়ে হাসতে লাগলো।।
– you are Really so Fun!!
– আচ্ছা Grace রাতের বেলায় বললে বের না হতে, কেন?!
– রাত এক অদ্ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি
করে। অনেকে বলেছে যে, তারা এক প্রকার Smoke দেখতে পেয়েছে। কেউ কেউ বলে ঘন কুয়াশার কথা। অনেকেই রাতে অদ্ভুত ও ভয়ংকর আওয়াজ শুনতে পেয়েছে।
– আচ্ছা। Grace তোমাকে কি আমার Editor Simon পাঠিয়েছে? সত্যি করে বলো তো এসব কাহিনি বানোয়াট কিনা?!
– না অভিক। এসব ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। তুমি অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করো একই ঘটনা বলবে তারাও
– আমার ঠিক বিশ্বাস করতে কষ্ট
হচ্ছে
বলে আমি ও Grace বাইরে চলে এলাম
Grace বললো
“Best of luck. If you don’t vanish i’d like to see you again!”
আমি বললাম‘ I promise আমি হারিয়ে যাবোনা!’
বাইরে এসে এবার Grace কে
চেনা চেনা মনে হলো তাই বললাম
– Hey Grace, You look familiar to me. আমি তোমাকে কোথাও আগেও দেখেছি
– তাই?
– হ্যা। তোমাকেও এতক্ষণে খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে!
– না তুমি আমাকে কিকরে চিনবে। আমি তোমাকে চিনিনা! (রাগান্বিত হয়ে গেল)
– I Didn’t mean to upset you Grace,Sorry!
– Anyway, See you Around!
দ্রুত Grace আমার সামনে থেকে চলে গেল। বুঝলাম না, ওকে চেনা চেনা লাগলো বলায় সে হঠাৎ মাইন্ড করে ফেললো। কোথাও যেন এর আগেও Grace কে দেখেছি আমি কিন্তু মনে করতে পারলাম না।
যাইহোক। এখানে যা ঘটছে এই নিয়েই আমি আমার পরবর্তী বই লিখবো। তাই আমার এডিটর সাইমনকে ফোন দেয়ার জন্য আমার মোবাইল বের করার জন্য পিছের পকেটে হাত দিলাম। কিন্তু একি পকেটে মোবাইল, ওয়ালেট ও গাড়ির চাবি কিছুই নেই! কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব। আমি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সব কিছুই নিয়ে বেরিয়েছিলাম। তবে কি কোথাও জিনিসগুলো পড়ে গেল!
একটুপর মাথায় এলো Alice এর কথা। এখন বুঝতে পারছি সে কেন এতো আমার কাছাকাছি আসছিল। সে ই চোর। Alice আমাকে Embrace করার নামেই আমার সমস্ত জিনিস চুরি করে দৌড়ে পালিয়েছে!! Alice কে দ্রুত খুজে বের করতে হবে.
এমন সময় Milie’র সাথে দেখা।
Milie বললো অভিক তোমার জন্য আমার একটা সারপ্রাইজ আছে। আমি বললাম আমার মোবাইল, চাবি চুরি হয়ে গেছে তা খুজতে হবে। Alice ওর কথা বলতেই সে ওর বাসা দেখিয়ে দিল। আমি Milie কে সন্ধ্যায় আমার বাসায় যেতে বলে চলে এলাম।