কামিনী (পর্ব ১)

অষ্টাদশী পাপিয়া দাঁড়িয়ে আছে শাওয়ার এর তলায়, জলকণা গুলো ওর নগ্ন শরীরের সমস্ত কোণে চুমু খেতে খেতে নামছে। ঘাড়, গলা স্তন বিভাজিকা বেয়ে আশ্লেষে বইয়ে দিচ্ছে গভীর নাভি, নেমে আসছে আরও গহীন কুঞ্চিত রোমশ রহস্যকন্দরে। শিরশির করছে ওর শরীর, মনে পড়ছে কিছুদিন আগেই বান্ধবী মিলি এর সাথে ওদের বাড়িতে দেখা নীলছবির দৃশ্য। সেখানে, দুইটি অনাবৃত শরীর দলিত করে চলেছিল এক মধ্যবয়স্ক সুঠাম পুরুষ। সুদৃঢ় উন্নত পৌরুষ প্রোথিত করে দুজনের শরীর ভরে দিয়েছিল জান্তব আবেগে। দুজনেই উপভোগ করছিল এই নিষ্পেষণ, সেটা ওদের উত্তেজক শীৎকারেই স্পষ্ট। বার বার একে অপরের মুখ চুম্বন করছিল তারা।

নিজের উরুসন্ধিতে জলোছ্বাস টের পেল পাপিয়া। চোখ দুটো আবেশে বন্ধ হয়ে এল তার, কল্পনায় খুঁজে নিচ্ছিল নিজেকে সেই সুঠাম অভিজ্ঞ পুরুষের দৃঢ় আলিঙ্গনে। কোলে বসে আদরের তালে তালে দুলে উঠছে ওর গোটা শরীর। সাপ এর চন্দনগাছ জড়িয়ে থাকার মত ওর পা দুটো জড়িয়ে ধরেছে মধ্যবয়সী অভিজ্ঞ পুরুষের কোমর। স্তনবৃন্তে জিভের গরম ভেজা স্পর্শ। শরীরে পুরুষের প্রবেশে হাজার পিঁপড়ের কামড়ের জ্বালা, তবু এ সুখের ব্যাথা, এমনটাই শুনেছে মিলির মুখে।

মিলির দুজন পুরুষসঙ্গ সারা, কিন্তু পাপিয়া এখনও বাইরে লাজুক। কিন্তু আজ যেন নিজের কোন শাসনই মানছে না ওর নিজের শরীর। বারবার মনে হচ্ছে এসময় যদি কোন পুরুষ জড়িয়ে ধরত ওকে পেছন থেকে, গুরুনিতম্বে সুদৃঢ় স্পর্শ ওকে করে তুলত আরও কামপাগল, ভেজা শরীর কোলে তুলে নিয়ে ফেলত বিছানায়, তারপর দলন মথন করত ওর নরম শরীর। ভাবতে ভাবতে স্তনবৃন্ত শক্ত হয়ে ওঠে, নিজেই মুচড়ে দেয় নিজের পেলব স্তন।

ইসস, মেয়েটা এখনও স্নান করে বের হয় নি। কদিন ধরেই বায়না করছিল জিলাটো এর নতুন ফ্লেভারটা খাবে বলে। স্কুল এর হাজারখানা ঝামেলা, খাতা দেখা সব সামলে শম্পা সময় করে উঠতে পারছিল না। এই ৩৫ বছর বয়সে ওকে মেয়ে, স্কুল সব সামলাতে হয়। শিরীষ এক্সিডেন্টালি অসময়ে চলে না গেলে, দুজনে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারত। তাছাড়া, সময় অসময়ে এমন একাকী বোধটাও কম হত। যৌবন এখনও ওর শরীর এর কানায় কানায় বইছে, তার চাহিদা মেটাতে মাঝে মাঝে যে পুরুষ সঙ্গ করেনি একদম রকমটা নয়।

দাদার ছেলে একটা বড় ভরসার জায়গা ছিল এতে। তবে পলাশকে পাপিয়ার বাথরুমে উঁকি দিতে দেখে, আর বিছানার তলায় পাপিয়ার ব্যাবহার করে রাখা প্যান্টি পাওয়াতে শম্পা আর রিস্ক নেয় নি। পলাশ কে পাঠিয়েছে হস্টেলে। তবে চাহিদামত কামক্ষুধা নিবারণের অস্ত্র পলাশ ও দূরে হয়ে গেছে কিছুটা। চাইলেই আর ওর ১৮ বছর বয়সী পুরুষত্বের দৃঢ়তার আস্বাদ পাওয়া যায় না। তাছাড়া, প্যান্টি পাবার ব্যাপারটা ভাবিয়েছে শম্পা কে। সেই প্যান্টিতে লেগেছিল পুরুষত্বের ইঙ্গিত। অবচেতনে মাঝে মাঝে ৩৫ এর ভরাট শরীর এর শম্পার সামনেই প্রতিযোগী হিসেবে নগ্ন শরীরে এসে দাঁড়ায় ওর নিজের আত্মজা পাপিয়ার ছবি। তাও মানিয়ে নিয়েছিল শম্পা। বিশেষ, এই সোস্যাল মিডিয়ার যুগে ওর আগুনশরীরে ঝাঁপ দিয়ে পুড়তে ছেয়েছে, এমন উদাহরণ কম নেই। সে স্কুল এর বাচ্চা হোক, কি অভিজ্ঞ কর্মরত পুরুষ। কখনও সেই আহ্বান এ সাড়া দিয়েছে, আবার কখন দেয়নি।

বয়স বাড়ার সাথেসাথে কম বয়সী পুরুষ এর শরীর প্রিয় হয়ে উঠছিল শম্পার। রাতে একাকী ইন্টারনেটে প্রায়শই সে দেখে নগ্ন কিশোরদেহ। শম্পা সেসময় খুলতে থাকে তার বেশবাস। শাড়ির আঁচল খসিয়ে দেয়, এক এক করে খোলে ব্লাউজ এর হুক গুলো। বাচ্চা ছেলেগুলো তার বক্ষবিভাজিকা দেখার নেশায় পাগল হয়ে যায়। মায়ের বয়সী শম্পার শরীর তাদের লিঙ্গত্থানের কারণ হয়। তার জন্য কিশোর এর পুরুষ কে দৃঢ় হয়ে জেগে উঠতে দেখে অনাবিল সুখের সাগরে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে, শম্পা এরপরে খুলে ফেলে তার ব্রা। ওরা শম্পার জন্য হস্তমৈথুন শুরু করে।

এইসময়, শম্পা ল্যাপটপ বন্ধ করে আসতে আসতে খুলে ফেলে নিজের পরনের শেষটুকু, মেতে ওঠে আত্মরতিতে। নিজের মুখ চেপে ধরেন শীৎকার এর আওয়াজ মেয়ের কানের থেকে দূরে রাখতে। তাড়া লাগান পাপিয়া কে,
– কিরে, তোর হল? আর কত ক্ষণ লাগবে তোর স্নান সারতে? তাড়াতাড়ি কর। এরপরতো আবার আমাকে পল্লবীর সাথে দেখা করতে যেতে হবে।

বাথরুম এ পাপিয়ার হাত খেলা করছিল নিজের শরীর এর সাথে, হঠাৎ মা এর ডাকে চমকে উঠল।
– যাই মম, এই হয়ে গেল।

তাড়াতাড়িতে ভালো করে গা না মুছেই পার্পল কালার এর প্যান্টিটা পরে, তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে এল পাপিয়া। চেঁচিয়ে ওঠে শম্পা, গা মাথা মোছ ভালো করে, মাথা থেকে জল ঝরছে দেখ মেয়ের। আরে ঠাণ্ডা লেগে যাবে তো। মুছছি, বাবা মুছছি, বলতে বলতে নিজের ঘরের দিকে হাঁটা লাগাল পাপিয়া, যেতে যেতে খুলে নিলো তোয়ালেটা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা মুছে, হালকা মেকআপ শুরু করল।

খোলা দরজা দিয়ে পাপিয়ার শরীর দেখা যাছে। সামনে আয়নায় প্রতিচ্ছবিটাও স্পষ্ট। পরনে একটা ছোট্ট প্যান্টি ছাড়া আর কিছুই নেই। সুডৌল স্তন, ভারী নিতম্ব, সামান্য মেদাহত কোমরে যৌবনরস যেন ছুঁইয়ে পড়ছে পাপিয়ার শরীর থেকে, একজন মেয়ে হয়ে, পাপিয়ার মা হয়েও, শম্পা মেয়ের প্রায় নগ্ন শরীর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে পারছে না। লেস দেওয়া ছোট্ট প্যান্টিটা খুব ভালো মানিয়েছে পাপিয়ার ফরসা শরীরে। যদিও পুরো নিতম্ব ঢাকা পড়েনি ওতে। নিজেদের অন্তর্বাস এর ওপরে খুব যত্নশীল শম্পা। নিজের আর মেয়ের জন্য ওর চাই বাছাই করা বিভিন্ন মডেল এর উত্তেজক অন্তর্বাস। হঠাৎ, সংবিৎ ফেরে শম্পার।
– চল চল, দেরি হয়ে যাবে তো, নাহলে।
– আরে মম, জানি জানি তুমি তোমার ছোটবেলার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে যাচ্ছ এতদিন পরে, ডোন্ট ওরি মম, ইউ উইল রিচ ইন টাইম। জাস্ট লেম্মি কভার মাইসেলফ আপ লিটল সেক্সিলি। আদারওয়াইজ পিওপল অনলি স্টেয়ার অন টু মাই সেক্সি মম।
– উফফ, অনেক হয়েছে। এই বয়েসে সেক্সি না ছাই।
– কি বলছ মম, ইউ আর সুপারসেক্সি। আমি মেয়ে না হয়ে ছেলে হলে কত কি করতাম তোমার সাথে তুমি জান না। এই দেখ না মিলিও বলে, ইওর মম অলওয়েজ মেকস মি হর্ণী।
– অনেক আজে বাজে বকা হয়েছে, এখন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আমাকে উদ্ধার করো।

(এদিকে নিষিদ্ধ সম্পর্কের উল্লেখে হড়কা বান আসে শম্পার ভেতরে, মনে পড়ে, ইন্টারনেটে দেখেছেন এরকম নিষিদ্ধ সম্পর্কের শরীরবিলাস। আবার একটু আতঙ্কিত ও হয়ে পড়েন, মেয়ে লেসবিয়ান নয়তো আবার। পরক্ষণ এ মনে পড়ে, কোথাও পড়েছেন, মেয়েদের মধ্যে সামান্য লেসবিয়ান স্ট্রিক দেখা যায়, তবে আতঙ্কের কিছু নেই। এইতো একটু আগেই, মেয়ের নগ্ন শরীর দেখে যা মনে এসেছিল, সেটা মা মেয়ে নয়, বরং দুই বান্ধবী হলে মানায় হয়তো। মেয়ে যেমন চায়, সেরকম সম্পর্কসুখ খুঁজে নেবে)।

পাপিয়া তৈরি হলে দুজনে বেরিয়ে আসেন বাইরে। পাপিয়া কে নিয়ে মলে যেতে হবে, নতুন জিলাটো খেতে।

গাঢ়নীল শিফন শাড়ি, স্লিভলেস, ব্যাকলেস আঁটসাঁট ব্লাউজ, অনেক নিচে পরা শায়া, আর তাই নাভি আর পেট প্রায় সবটুকু দেখা যাছে। বুকে যেন জমাট দুটো টিলা, গভীর বিভাজিকার উপত্যকা সামান্য উন্মুক্ত করে তুলে মরাল ছন্দে হেঁটে আসছে একটা কুড়ি একুশ বাছরের মেয়ে। হালকা শ্যামলা রঙ, দেহবল্লরী কামের গন্ধে যেন পূর্ণ, যেন যৌনতা নিজে মেয়ের রুপ ধারণ করেছে। হাঁ করে কামুক দৃষ্টিতে দেখছিল শম্পা, হঠাৎ মেয়েটা ওর কাছেই এসে বলে, কি রে, কি দেখছিস এমন করে? চিন্তে পারছিস না? আমি পল্লবী রে, তোর ছোটবেলার বেষ্টি। চমকে ওঠে শম্পা, তা কি করে হয়, পাশের বাড়িতে থাকত পল্লবীরা, আর পড়ত এক ক্লাস ওপরে। অনেক নিষিদ্ধ স্বাদ পেয়েছে ওর কাছে থেকেই, কাউকে না বললেও শম্পা নিজেতো জানে যে ওর প্রথম শরীরকে চিনতে শেখা, পল্লবীর হাত ধরে ওরই বিছানায়। সে প্রায় কুড়ি একুশ বছর আগের কথা। এই যে এতগুলো বছর কেটে গেছে, তার কোন লক্ষণই দেখা যাছে না পল্লবীর শরীরে।

(ক্রমশ)
**********************************
প্রথম পোস্ট এটা আমার। পাঠ প্রতিক্রিয়া পেলে ভালো লাগবে। আমাকে জানান [email protected] আইডি তে ইমেল করে।