This story is part of the কাকিমাদের ভালবাসা series
পশ্চিম বঙ্গের একটি ছোট্ট শহরে আমাদের বসবাস | সদ্য কলেজ পাস করে ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়েছি | আমার পরিবার এর সদস্য সংখ্যা ৩ জন | আমি আমার বাবা শুভেন্দু দে (৪৬) একজন রিটায়াৰ্ড আর্মি অফিসার বর্তমানে ফুড ডিপার্টমেন্ট এ চাকরি করেন | আর্মি তে থাকার সুবাদে আমার বাবা কে দেখে মনেই হয় না যে ওনার বয়স (৪৬),দেখে মনে হয় বছর (৩৫) র বেশি হবে না |
আমার মা শ্রীমতি সুচিত্রা দে একজন সাধারণ গৃহবধূ (৪২) | আমার মা দেখতে শুনতে ভালো মিডিয়াম চেহারা না খুব মোটা বা পাতলা | আমি বাবা মার এক মাত্র ছেলে ছেলে খুব আদরের | তা বলে ইটা ভাববেন না যে আমি যা খুশি তাই করতে পারি | একদম ই তা না | একমাত্র ছেলে হওয়ায় আমার মা আমাকে খুব ই চোখে চোখে রাখত | আমার খাওয়াদাওয়া, পড়াশুনা শরীর স্বাস্থ সব কিছুর উপর ই মার ভীষণ খেয়াল ছিল ( যদি ও এটা শোন্ মায়েরাই করে থাকে) কিন্তু এর একটা ভালো দিক হলো আমি মায়ের খুব ই ক্লোস | মায়ের এত ভালো গাইডেন্সের জন্য আমি ছোট থেকে পড়াশুনা তে খুব ই ভালো | শুধু পড়াশুনা না আমি খেলাধুলাতেও ভালো |
যাই হোক আবার আসল গল্পে আসি | সবে কলেজ কমপ্লিট করে আবার ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবো | বলতে ভুলে গেছি আমি এখন কেমিস্ট্রি র ছাত্র | পড়াশুনায় ভালো তাই আমার কলেজ র রেজাল্ট ও খুব | তাই ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি নিয়ে আমার সেরকম কোনো চাপ নেই | কিন্তু ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু হতে প্রায় ৩ মাস বাকি বাকি পড়াশুনার ও কোনো চাপ নেই | অবশ্য বাড়িতে এখন দিন ভালোই কাটছে পড়াশুনার চাপ এ এমন অনেক কিছু ছিল যা আমি করতে চেয়েও সময় র অভাব এ করতে পারিনি সেগুলো এখন করছি | তবুও এতটা সময় কাটানো মুশকিল তাই বোর হছিলাম |
আমার মা এবং মায়ের ফ্রেন্ড দের মাঝে মাঝে কিটি পার্টি হতো প্রায় সবার বাড়িতে একবার একবার করে হতো এবারের কিটি পার্টি র পালা আমাদের বাড়িতে | যথারীতি| আমার মা সবকিছুর ব্যবস্থা করলো এবং আমিও মাকে সাহায্য করলাম বাজার থেকে জিনিস পত্র আনতে | যথারীতি সবকিছু হয়ে যাবার পর সবাই আসার আগে আমি মা কে বলে আমার রুম এ চলেগেলাম কারণ আমি চাইছিলাম না ওদের কিটি পার্টি তে আমি থাকার জন্য মন খুলে কথা বলতে কোনো অসুবিধা হোক | যদি ও এই মহিলাদের গল্প এত ভিষণ হয় যে আমার রুম থেকে স্পষ্ট শুনতে পাওয়া যাই |
যদিও আমি কখনোই ওদের কিটি পার্টি র কথা শুনতাম না কিন্তু এখন তেমন কোনো কাজ না থাকায় মনে হলো একবার দেখাযাক কেমন হয় কয়টি পার্টি | তাই আমি আমার রুম র দরজা বন্ধ করে জানালাটা একটু খুলে দিলুম যাতে কি ক্যথা হচ্ছে আমি শুনতে পাই | একটু পর দেখলাম অনেক গুলো কণ্ঠস্বর কানে আস্তে লাগলো বুঝতে বাকি রইলাম না যে সবাই এসে গেছে | এদের সবাইকেই আমি চিনি রত্না কাকিমা ,সোমা কাকিমা ,শোভা কাকিমা রণিতা কাকিমা এবং আরো দুজন আছে | এরা প্রত্যেকেই প্রায় মায়ের সম বয়সী তাই সবাইকে আমি কাকিমা বলেই ডাকি | যথারীতি গল্প গুজব আরম্ভ হলো মা তখন সানক্স সৰ্ভ করতে ব্যাস্ত | যখন গল্প শুরু হলো তখন মা খাবার পরিবেশন করার মাঝেই বলে উঠলো “একটু আস্তে খোকা বাড়িতে আছে ”
(মা আমাকে বরাবরই এই নামেই ডাকে) এটা শুনে রণিতা কাকিমা বলে উঠলো “তো আরে ও কলেজ শেষ করে এবার ইউনিভার্সিটিতে যাবে এবার তো ও কে একটু বড়ো হতে দে” |
শোভা কাকিমা -ঠিক বলেছিস রে রণিতা, সোমা এবার ঋষভ কে একটু একl ছাড় যথেষ্ট বড়ো হয়েছে ও | মা অবশ্য কিছু বললো না | এভাবে সবাই যে যার মতো গল্প জুড়ে দিল কিন্তু আমি দেখলাম আসার পর থেকে সোমা কাকিমা একটা কথাও বলেনি | এটা দেখে মা বললো কি রে সোমা কি হয়েছে তোর? ওরকম মুখ ভার করে বসেআছিস?
সোমা কাকিমা – আর বলোনা দিদি এই মেয়েটাকে নিযে চিন্তায় ,আছি গত সপ্তাহে ওর রেজাল্ট বেরিয়েছে, একদম ভালো হয়নি কি যে হবে (সোমা কাকিমা মা কে দিদি বলেই ডাকে, মায়ের থেকে দু এক বছরের ছোট) এবার ৭ ক্লাস এ উঠলো এখন যদি রেজাল্ট ভালো না হয় তো কখন হবে? এটা শুনে রণিতা কাকিমা বলে “উঠলো আরে ভালো টুশন দে |
সোমা কাকিমা – হা সেটাতো ঠিক বলেছো কিন্তু তেমন কাউকে পাচ্ছি কৈ.. যে একটু যত্ন নিয়ে পড়াবে সাইন্স এ একটু বেশি সময় দেবে রণিতা কাকিমা – আরে তোর চোখের সামনেই তো আছে
সোমা কাকিমা – কে?
রণিতা কাকিমা – কে আবার ঋষভ |
মা – খোকা?
রণিতা কাকিমা – হা ঋষভ | দেখো ওর কলেজ কমপ্লিট,এখন তেমন কোনো কাজ নেই আর ইউনিভার্সিটি স্টার্ট হতে দেরি আছে |তাছাড়া এখন ও তো ফাঁকাই আছে আছে?
সোমা কাকিমা কিছুক্ষন ভাবলো তারপর বললো ঠিক বলছিস রণিতা তাছাড়া ঋষভ সাইন্স এ খুব ভালো
সোমা কাকিমা – দিদি তুমি ঋষভকে একটু বলে দাও না?
মা – ও কি পারবে ? কখনও টিউশন পড়াইনি তো
রণিতা কাকীমা – তো কি হয়েছি সবাই একবার প্রথম স্টার্ট করে,এটা না হয় ঋষভ র প্রথম বার হবে
মা -ঠিক আছে ডাকছি বলে মা আমাকে ডাকলো | এতক্ষন ওদের মধ্যে কি ক্থা আমি সব শুনেছি তবু ও না জানার ভ্যান করে বললাম কি হলো মা কিছু আন্তে হবে কি ?
মা -না তোর সোমা কাকিমা তোকে কিছু বলবে তারপর সোমা কাকিমা আমাকে সব খুলে বললেন এবং আমাকে রিকুয়েস্ট করলেন আমি যেন তার মেয়েকে পড়াই
আমি কিছুক্ষণ ভেবে বললাম ঠিক আছে | ঠিক হোলো এবার থেকে সপ্তাহে ৪ দিন আমি সোমা কাকিমার মেয়েকে পড়াবো…….
চলবে এরপর কি হল তা পরের পার্ট এ বলবো | গল্পটি ভাল লাগলে নিচে দেওয়া ইমেল এ আমাকে আপনাদের মতামত জানাবেন
[email protected]