৩ টে তে ঘুম ভেঙে যাবার পরও তিনি হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকলেন। খুব ভালো ভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে তার দীর্ঘ লিঙ্গখানি ছাদের দিকে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি তখন খুব ধীরেধীরে কিন্ত গভীর ভাবে বায়ু সেবন করছেন। প্রত্যহ ঘুম ভাঙার পর এই ভাবে কিছু সময় শবাসন করে তিনি নিজেকে শান্ত করেন।
পুলিশের চাকরি থেকে রিটায়ার্ড করা মিঃ মোহন মিত্র র এখন বয়স ৬৪। উঁচু লম্বা শ্যামলা চেহেরার সাথে কাঁচাপাকা চুল ও দুধের মত সাদা গোঁফ খানি তাকে বেশ আভিজাত্য প্রদান করেছে। তবে এই মানুষটি কিন্ত চিরকুমার। আজ বিছানা ছাড়তেই দেখা গেল তিনি পুরোপুরিভাবে উলঙ্গ কিন্ত তার দীর্ঘ লম্বা লিঙ্গখানি এখন শান্ত।
রাত্রে বেশীরভাগ দিনই উলঙ্গ হয়ে ঘুমাতেই তিনি পছন্দ করেন। আজ বেশ কিছু সময় পর যখন বাথরুম থেকে তিনি ফ্রেশ হয়ে বের হলেন তখন তার কোমড়ে তোয়ালে জড়ানো।এখন তিনি সুইমিংপুল এ সাঁতার কাটতে যাবার জন্য রেডি হচ্ছেন। নিয়মিত এই অভ্যাস ওনাকে যুবকের মত করে তুলেছে প্রানবন্ত।
ঘড়িতে ৩.৩০, এত সকালে শহরের খুব কম লোকেই বাড়ির বাইরে পা রাখেন। এত সকালে সুইমিংপুল খোলেও না কিন্ত তিনি প্রথমে পার্ক এ বার কয়েক চক্কর লাগাবেন তারপর সুইমিং করতে যাবেন প্রতিদিনের মত।
ছোটো একখানি ব্যাগে একটি সুইমিং কস্টিউম,তোয়ালে, ড্রেস আর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি ভরে নিলেন। তারপর একখানি সাদা হাফ প্যান্ট আর গেঞ্জি গায়ে দিয়ে তিনি রওনা দিলেন। রাস্তায় নামতেই শীতের কামড় টের পেলেন মোহন মিত্র। কি যে ভুল করলেন আজ! আপার টা নামাতে হবে নিজের মনে বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন।
বাড়ী ফিরে যাবেন কিনা ভাবতে ভাবতে তিনি অনেক খানি চলে এলেন। নাহ আর ফিরে যাবার কোনো মানে হয় না। তিনি জোরে জোরে পা চালালেন। পার্ক এর সামনে এসে তিনি যখন পৌঁছলেন ঘেমে নেয়ে তার গেঞ্জি পুরো ভিজে জবজব করছে। তিনি পার্ক এ ঢুকলেন। ব্যাগখানি বেঞ্চিতে রেখে দিয়ে সেই ভিজে গেঞ্জি গায়েই বিশাল পার্ক খানি চক্কর দিতে এগোলেন। আজ দারুন পরিশ্রম হয়েছে।
এই বিশাল পার্ক খানির ৭ টি গেট,মধ্যিখানে বিশাল সরোবর, বছরের এই সময়েই মাছ ধরবার টিকিট দেওয়া হয়। যাইহোক ঘড়িতে ৩.৪০, অন্ধকার তখনও কাটেনি। আকাশ পরিষ্কার হতে এখনো অনেক দেরী। মোহন মিত্র প্রতিদিনের মত সরোবর ধরে হাঁটতে শুরু করলেন। তিনি ভাবলেন আজ চারিদিক একবার হেঁটে আসলে মন্দ হয় না।
পায়ে হাঁটা পথ থাকলেও কেউ সাধারনত পশ্চিম পাশে যেতে চায় না। তিনি হাঁটা শুরু করলেন, বেশ কিছু সময় পর ওদিকের বন্ধ গেটটিতে তালা নেই দেখে আশ্চর্য হলেন। আরো আশ্চর্য হলেন অপরিস্কার জংলি গাছ গুলো টাটকা মাড়িয়ে যাবার চিহ্ন দেখে।
পুলিশী মন খচখচ করতে লাগল। যাবেন কি যাবেন না দোটানায় পড়ে গেলেন। পার্কের এই পাশের রাস্তা সাধারনত কেউ ব্যবহার করে না। কারন এটা ডেড এন্ড।আর রাস্তার ওইধারে পুরোনো সরকারি দপ্তরের পাঁচিল ঘেরা জমি। অতঃপর তিনি কৌতুহলী হয়ে ধীরেধীরে সেই চিহ্ন অনুসরন করে এগোতে লাগলেন।
বেশ কিছুদুর যেতেই চাপা গোঙানোর আওয়াজে ওনার স্নায়ু উত্তেজনায় টানটান হয়ে গেল। ভাঙা পাঁচিলের ওপাশে গাছ গাছালি ঘেরা জংলি জায়গাতে একটি মেয়েকে বেঁধে তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে। মেয়েটির পরনের কাপড় চোপড় ছিঁড়ে ফালা ফালা করা। তিনটি ছেলেই পুরোপুরি মদ খেয়ে মাতাল।
একটি ছেলে মেয়েটির গায়ের উপর চড়বে বলে প্যান্টের বেল্ট খুলছে আর বাকী দুজন মিলে মেয়েটির অর্ন্তবাসখানি ধরে টানাটানি করে প্রায় হাঁটু অব্ধি নামিয়ে ফেলেছে। তিনি আগে পিছু কিছু না ভেবে বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি মাতাল ছেলে গুলোকে শায়েস্তা করে ফেললেন।
একটার হাত, একটার কলার বোন ভেঙে দিলেন। আর যে ছেলেটি ধর্ষণ করতে যাচ্ছিল তার পুরুষাঙ্গে জোরে একটি লাথি কষালেন। ছেলেটি কাটা কলাগাছের মত ধুপ করে পড়ে গেল। যাইহোক ওদেরই মোবাইল নিয়ে থানায় তিনি কল করে ঘটনাটি জানিয়ে দিলেন।
আর মেয়েটিকে বন্ধনমুক্ত করে ছেলে তিনটিকে ওদের ই জামা কাপড় দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিলেন। মেয়েটি দেখে তিনি বুঝতে পারলেন যে মেয়েটির শক এখনো কাটেনি। তিনি বিদ্যুত গতিতে গিয়ে নিজের ব্যাগখানি নিয়ে এলেন।
মেয়েটি তখনও একই ভাবে বসে দেখে তিনি ওকে ধরে প্রবল জোরে নাড়া দিলেন। তার ছেঁড়া ব্রা খানি খুলে পড়ে গিয়ে তার স্তন দুটি প্রবলভাবে নড়ে উঠল। মিত্র বাবুর বুকটা ধকধক করতে লাগল। তিনি মেয়েটির নরম গালে ওনার বলিষ্ট হাতের চড় বসিয়ে দিলেন। ব্যাথা পেয়েই মেয়েটির হুঁশ ফিরল আর প্রবলভাবে কাঁদতে লাগল।
মেয়েটি নিজের গায়ের সবকিছু টেনে টেনে খুলতে লাগল। তিনি ওর কাছে যেতেই সে ওনাকে পাগলের মত কিল চড় নখের আঁচড় দিতে লাগল। কিছু সময়ের মধ্যে তিনি মেয়েটিকে ধাতস্থ করলেন কিন্ত তার লজ্জা নিবারন করার মত কিছু দেখতে পেলেন না। তিনি নিজের ব্যাগ থেকে গেঞ্জি বার করে মেয়েটিকে কোনমতে পড়িয়ে দিলেন, আর সাথে তোয়ালে খানি জড়িয়ে দিলেন।
কিছু সময়ের মধ্যেই পুলিশ হাজির,আর কি করে সাংবাদিকেরা খবর পেল কে জানে? মিনিট ২০ র মধ্যেই ওই নিরিবিলি জায়গাখানি গমগম করে উঠল। তিনি সেখান থেকে সরে এলেন তার বুকের কাছে মেয়েটির আঁচড়ে জ্বালা করছে।
এরপর একদিন বিকেলবেলা ওনার বাড়ীর কলিংবেল বেজে উঠল। তিনি দরজা খুলে দেখলেন সেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে। পড়ন্ত দিনের আলোতে ভালো করে তার রুপ দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে গেলেন। ৫’৬” হাইট, ভরাট সুশ্রী শরীর, চুল খোপা করে বাঁধা। পরনে একখানি শালোয়ার কামিজ। এককথায় অপূর্ব। হাতে একখানি প্যাকেট তাতে নিশ্চিত করে ওনার সেদিনের গেঞ্জি তোয়ালে রয়েছে।
তিনি বললেন আমি কিন্ত এখানে একা থাকি। মেয়েটি একবার চোখ তুলে নামিয়ে নিল। উনি একপাশে সরে দাঁড়ালেন। আর দরজাটা খোলাই রেখে দিলেন। মেয়েটি দেখল কিন্ত কিছু বলল না। উনি সোফায় বসতে বলে জিজ্ঞেস করলেন চা খাবেন। মেয়েটি কিছু বলল না। চুপ করে বসে রইল। অস্ফুট স্বরে শুধু বলল কিছু বলতে এসেছি। উনি বললেন বলো।
মেয়েটি ওনার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইল তারপর আচমকাই সে ওনার দুখানি পা জড়িয়ে ধরল। উনি ওকে তুলে দাঁড় করালেন বললেন এ তুমি কি করছ।তার দুই চোখে জলের ধারা।সে বলল আপনি আমার জীবন রক্ষা করেছেন।না হলে সেদিন হয়ত আমি মরেই যেতাম।
আস্তে আস্তে বলল সেটাই বোধহয় ভালো হত। এই বলে সে তার নিজের গালে হাত বোলাতে লাগল। বলল জানেন আমি স্বপ্নেও ভাবিনি এত কিছুর মধ্যে আপনার হাতের ওই চড়ের কথা মনে থাকবে। মোহন বাবু লজ্জা পেয়ে বললেন সরি এ ছাড়া আর উপায় ছিল না।
তিনি বললেন তোমার নামটা কি যেন? ‘কাকলী’ সে আস্তে করে বলল।
কাকলী বলতে শুরু করল জানেন সেই ঘটনার পুলিশ আর সাংবাদিকদের দয়ায় মা কোমাতে চলে গেছিল। আর বাবাকে তো আমি জন্মের পরই হারাই। মায়ের পছন্দ করা পাত্রের সাথেই বিয়ে করব এরকম ভাবনা ছিল।
কিন্ত বিজয় এত নাছোড়বান্দা ছিল। বুঝতে সময় লাগল যে এটা ভালোবাসা নয়। তারপর এই অবস্থা।কাজের ওখানেও……আমাকে সবাই সস্থা একজন বেশ্যা বলে ভাবছে। যাকে ভোগ করতে পয়সা লাগে না।
বলে সে কেঁদে উঠল।