মা সিনহা আংকেল এর আনা মুম্বাই এর প্রস্তাবে রাজি হবার মাত্র ৫ দিন বাদে ই মার মুম্বাই যাওয়ার তারিখ টা এসে গেলো, নির্দিষ্ট দিনে আমরা চারজনে অর্থাৎ আমি, বাবা, মা আর রবি আংকেল মর্নিং ফ্লাইটে মুম্বাই রওনা দিলাম। বলাই বাহুল্য সেটাই ছিল আমার আর মায়ের প্রথম ফ্লাইটে চড়া। যথারীতি আমার আর মায়ের আনন্দের সীমা ছিল না। বাবার মুখ কী জানি এক অজানা আশঙ্কায় ভার হয়ে ছিল। ফ্লাইটে চড়ে মুম্বাই পৌঁছে, রবি আংকেল আমাদের কে একটা ভালো হোটেলে নিয়ে গিয়ে তুলেছিল।
আমরা মুম্বাই পৌঁছে প্রথম রাত টা ঐ হোটেলেই কাটালাম। হোটেল টা র জানলা দিয়ে সমুদ্র দেখা যাচ্ছিল।
সেই কারণে আমার আর মায়ের খুব পছন্দ হয়েছিল হোটেল টা। সেই রাত টা আমরা বাবা মা আর ছেলে শেষ বারের মতন একসাথে পাশাপাশি শুয়েছিলাম। তার পর আর চেষ্টা করেও মা আমাদের সঙ্গে কখনো একসাথে শুতে পারে নি। যাই হোক, পরের দিন হোটেলে প্রোডাকশন টিমের একটা গাড়ি এলো, রবি সিনহা ওখান থেকে আমাদের কে একটা গেস্ট হাউসে নিয়ে আসা হলো। শহরের কিছুটা বাইরের দিকে হলেও গেস্ট হাউস টা বেশ টিপ টপ সাজানো গোছানো বাংলো গোছের ছিল। এক তলা ঐ গেস্ট হাউজ টা আমাদের তিন চার জনের রাত্রিবাস এর জন্য একেবারে ফরমাস দিয়ে তৈরি। বাইরে একটা বাউন্ডারি দেওয়া ছোট ফুলের বাগান মত ছিল। আমরা ওখানে গিয়ে উঠতেই, আধ ঘন্টার মধ্যে ঐ আসন্ন টিভি মেগা সিরিজের প্রোডাকশন ম্যানেজার মিস্টার আশু মেহতা র সঙ্গে আলাপ হলো। উনি একজন মেক আপ এর লোক কে অ্যারেঞ্জ করে রেখেছিলেন। আমাদের সাথে আলাপ হবার পর, সেই মেক আপ আর্টিস্ট এসে মা কে সাজানো আরম্ভ করলো। মা সাধারণ ভাবেই ফাইনাল অডিশন দিতে যেতে প্রস্তুত ছিল।
কিন্তু মেহতা জি মা কে একটু আলাদা ভাবে সেজে গুজে রেডি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী ছিলেন। তার কথায় এখানে আগে দর্শন ধারি তারপর গুন বিচারি এই ফর্মুলায় কাজ হয়, কাজে ফাইনাল টেস্ট দিতে যাওয়ার আগে সাজ গোজ টা প্রয়োজন। মা কে একটা চুমকি বসানো দামি শাড়ি আর ম্যাচিং লো স্লিভ ব্লাউস দেওয়া হলো পড়বার জন্য। এর সাথে কোমরে একটা রুপোর উপর সোনার জল করা চেইন পরে আসতে মা কে যেন আরো আকর্ষণীয় দেখাচ্ছিল। ওটা পড়ে আসার পর মার লুক তাই দেখা গেলো পুরো চেঞ্জ হয়ে গেলো।
শাড়িটা কোমরের কাছে হালকা ট্রান্সপারেন্ট মেটেরিয়াল দিয়ে প্রস্তুত হওয়ায়, মার সুগভীর নাভি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। মা সেটা আঁচল দিয়ে সমানে ঢাকবার চেষ্টা করছিল। মা পাশের ঘর থেকে চেঞ্জ করে আসার পর, আমাদের সামনেই তার ফেসিয়াল মেক আপ নেওয়া হয়েছিল। মেক আপ আর্টিস্ট যে ভদ্র লোক এসেছিলেন, তিনি ছিলেন খুব অভিজ্ঞ, নিপুণ হাতে মা কে সাজাচ্ছিলেন। যত সময় যাচ্ছিল, মার রূপ যেনো আরো ফুটে বেরাচ্ছিল। সেই সময় আমার সব থেকে অবাক যেটা লাগল টা হলো, মার মাথার খোপা এবং চুল সেট করার সময় মায়ের সিথি থেকে তার বিবাহিত জীবনের নিশান সিদুর টা কেনো জানি না চুল দিয়ে কভার করে ফেলা হলো।
আর তারপর শাখা পলা মানে বিবাহিত হিন্দু নারীর আরো যেসব প্রধান ফিচার গুলো থাকে সেগুলো মার ড্রেস এন্ড স্টাইল এর এর সঙ্গে যাচ্ছে না বলে খুলে রাখতে হলো। মা শাখা পলা খুলবার সময় ভীষণ অসস্তি বোধ করছিল, বার বার বাবার দিকে তাকাচ্ছিলো। কিন্তু ওদের বাবা ব্যাপার সেপার দেখে চুপ করে গেছিল, শেষে ওদের আবদার মেনে মা সম্পূর্ণ অবিবাহিত দের মতন সেজে রেডি হল। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে, সাজা গোজা কমপ্লিট হবার পর গেস্ট হাউস থেকে ডাইরেক্ট প্রোডাকশন হাউস এর অফিসে গেলো।
ওখানে গিয়ে রিপোর্ট করার পর, আধ ঘন্টার মধ্যে মার একটা স্ক্রীন টেস্ট নেওয়া হলো ক্যামেরার সামনে। মা কে কাগজ দেখে দুই চার লাইন সংলাপ বলতে হল। তার মধ্যে একটা লাইন ছিল, ” মে আপকী অনে ওয়ালে বাচ্ছে কি মা বন্নে ওয়ালি হ্ন।” মা ঐ স্ক্রিন টেস্ট সসন্মানে পাস করে গেলো। এই প্রোডাকশন হাউস এর অফিসে মা রবি আংকেল এর সঙ্গে একাই গেছিলো।আমি আর বাবা গেস্ট হাউস এর মধ্যে ওরা ফিরে আসার সাথে একটা গুড নিউজ পাবার অপেক্ষায় থেকে গেছিলাম। আমি আজও বিশ্বাস করি, সেদিন মা কে বাবার রবি আংকেল এর সাথে একা ছাড়া উচিত হয় নি। ঐ অফিসে গিয়ে ওদের বিরাট সব কায়দা কানুন দেখে মা কিছুটা ঘাবরে গেছিলো।
স্ক্রিন টেস্ট এর পর আরো একঘন্টা সময় ধরে, মার ভয়েস টেস্ট নেওয়া হলো। লুক টেস্ট নেওয়া হলো। সব কিছুতেই মা সসম্মানে পাস করলো। তারপর ঐ প্রোডাকশন হাউজ এর সিইও নিজে তাকে আর রবি আংকেল কে নিজের বিরাট অফিস কেবিনে ডেকে মা কে জব অফার দিল। সেই সময় মা একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিল। রবি আংকেল এর সৌজন্যে ওদের সিইও র সামনে কিছুটা চাপে পড়ে যায়। ওরা তক্ষুনি সাইন করতে বার বার অনুরোধ করে। মা শেষে ওদের প্রস্তাবে হ্যা বলে ঐ প্রোডাকশন হাউজ এর দেওয়া কন্ট্রাক পেপার ভালো করে না দেখে ওদের মুখের কথা বিশ্বাস করে ওদের দেওয়া টার্ম কন্ট্রাক্ট পেপারে সাইন করে দেয়।
তারপর সিইও মা কেএই মোমেন্ট টা এনজয় করার জন্য নিজের হাতে রেড ওয়াইন সার্ভ করে ড্রিঙ্কস অফার করে। মা যেহেতু হার্ড ড্রিঙ্ক করে না, তাই ভালো ভাবে ভদ্র ব্যাবহার দেখিয়ে ড্রিঙ্ক এর প্রপোজাল এড়ায়। রবি আংকেলের অবশ্য মদে অরুচি ছিল না। সে মার সামনেই কোম্পানির সিইও র সঙ্গে ওয়াইন নেয়। মার জন্য সিইও সফট ড্রিঙ্ক আনিয়ে নেয়। তারপর ওরা যখন গুড নিউজ নিয়ে গেস্ট হাউস এ ফিরলো, বাবা কন্ট্রাক্ট পেপার টা আংকেল এর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে ভালো করে পড়েছিল।
তখন ই জানা গিয়েছিল, কন্ট্রাক্ট পেপারে দুটো বেশ আপত্তিকর টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ছিল। ১. মা কে প্রোডাকশন এর অনুমতি ছাড়া মুম্বাই ছাড়া যাবে না। ২. ৬ মাসের আগে কারোর কাছে প্রকাশ করা যাবে না যে সে বিবাহিত, এবং তার একটি বড়ো বাচ্চা আছে। বাবা ওটা ভালো করে পড়ার পর মা কে চুক্তির শর্ত গুলো বুঝিয়ে বলতে মার মুখের থেকে উৎসাহ আর আনন্দের রেশ মিলিয়ে যায়। সে এই শর্ত গুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করে। আরো একবার অফিসে গিয়ে চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেবে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় আসে। তখনও বেরিয়ে আসতে পারতো, কারণ তখন ও কন্ট্রাক এর ফাইনাল টার্ম শিটে মা সই করে নি কিন্তু রবি আংকেল আমার মা আর বাবা কে আটকায়।
তরিঘরি ফাইনাল টার্ম শিট সাইন করার জন্য প্রভাব খাটায়। শেষ মেষ মা আর বাবা আঙ্কেল এর কথা মেনে নেয়। তারপর মা আর কোনোকিছু না ভেবে পরের দিন আরো একবার ঐ প্রোডাকশন হাউসের অফিসে গিয়ে সেই সিইও আর তার ল ইয়ার এর সামনে কোম্পানির দেওয়া চুক্তি র ফাইনাল টার্ম শিট এ বিনা বাক্য ব্যয়ে সই করে দিল। তার পরের দিন ই মার হাতে কোম্পানির তরফে তার ফ্ল্যাটের চাবি চলে আসলো। তবে মায়ের সেই নতুন ফ্ল্যাট আর প্রোডাকশন এর তরফ থেকে দেওয়া গাড়ি দেখার আর চড়ার সৌভাগ্য আমাদের হলো না।
গেস্ট হাউসে আরো একটা রাত কাটিয়ে আমরা মা কে চোখের জলে বিদায় জানিয়ে, তাকে রবি আংকেলের দায়িত্বে রেখে আমরা রিটার্ন ফ্লাইটে চেপে বাড়ি ফিরে এলাম। বাবা র আরো কিছু দিন থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু প্রোডাকশন দুদিন পরে র ফ্লাইট এর আমাদের নিজেদের শহরে ফেরার রিটার্ন টিকেট কেটেছিল। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে বাবা মা কে রবি আংকেল এর জিম্মায় রেখে চলে ফিরে আসতে বাধ্য হলো। রবি সিনহা কিছুদিনের মধ্যে মা কে একটা মোবাইল ফোন জোগাড় করে দিয়েছিল।
আমরা যাওয়ার আগে মার সঙ্গে কথা হয়েছিল অন্তত ফোন এ মা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে আসবার সময় মা বাবা আর আমি তিনজনের চোখেই জল চলে এসেছিল। আমি ছোট থাকায় বেশি কাদছিলাম। আমরা মুম্বাই ছাড়ার আগে একটা বিষয়ে নিচ্ছিত ছিলাম, মা এই যে কন্ট্রাক্ট সাইন করলো, তারপর থেকে নিজের ব্যাক্তি স্বাধীনতা এক প্রকার পুরো পুরি ঐ নামী প্রোডাকশন হাউস এর হাতে তুলে দিয়েছিল । অর্থাৎ তাকে এবার থেকে আমাদের দেখা করতে হলেও ঐ কোম্পানির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আমাদের চলে আসার পরের দিন খবর পেলাম, মার জন্য একটা পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করা হলো। একজন ৩৪ বছরের প্রফেশনাল কোয়ালিফাইড ওম্যান মিস নিশা মার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব নিল। তার উপর মায়ের গ্রুমিং এর ভার দেওয়া হয়েছিল।আমরা মুম্বাই ফিরে আসার এক সপ্তাহ পর মা আট লাখ টাকা অ্যাডভান্স পেলো। সেই টাকার পুরোটা মা রবি সিনহা আর নিশার সহায়তায় বাবার একাউন্টে ট্রান্সফার করলো।
তারপর দেখতে দেখতে মা কে মুম্বাইতে রেখে ফিরে আসবার পর দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেল। মা কে ছাড়া থাকতে আমাদের বাপ ছেলের সত্যি খুব অসুবিধা হচ্ছিলো, তবুও আমরা মানিয়ে নিচ্ছিলাম। মা ও প্রথম দিকে নিয়মিত ফোনে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছিল। আমরা জানতে পারছিলাম ঐ নামী প্রোডাকশন হাউস আমার মা কে কিভাবে খুব দ্রুত ঘষে মেজে ঐ টিভি সিরিজের কাজের জন্য তৈরি করে নিচ্ছে। প্রতিদিন মা কি নতুন জিনিস শিখছে। আমার মা খুব পরিশ্রমী আর বুদ্ধিমতী হোওয়ায় সে অন্যদের তুলনায় নাকি বেশ চট পট সব কিছু শিখে নিচ্ছিল।আর অল্প দিনের মধ্যে মা তার সুন্দর মিষ্টি সরল ব্যাবহার দিয়ে সবাইকে সন্তুষ্ট করেছিল। সবাই মায়ের শেখার ইচ্ছে আর এফর্ট দেখে যাপর্নাই খুশি ছিল। আরো এক মাস পূর্ণ হতে না হতেই ঐ টিভি মেগা সিরিয়াল তার শুটিং শুরু হয়ে গেছিলো।
আরো কিছু দিনের পর সিরিয়াল তার প্রমো বা ট্রেলার টিভি চ্যানেল টায় সম্প্রচার হওয়া শুরু করলো। ২ মিনিটের ট্রেলারে মা কেও ওরা ৩০ সেকেন্ড দেখিয়েছে। এর মানে স্পষ্ট যথেষ্ট গুরুত্যপূর্ণ একটা চরিত্র তে মা কাস্ট হয়েছে। টিভি তে দেখে আমার আস মিট তো না তার অভাব টা আমাদের বাড়ির প্রত্যেক টা মুহূর্তে অনুভব হতো। আমি বাবা কে বার বার জিজ্ঞেস করতাম, মা কবে আমাদের কাছে ফিরবে? বাবা সেই এক উত্তর দিত, ” তোমার মা এখন তার কাজ নিয়ে খুব ব্যাস্ত বাবু। সময় পেলে ছুটি নিয়ে নিচ্ছয় বাড়ি আসবে। তোমার এখন তার কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত বাবু। এই টিভি সিরিয়াল এর কাজ যেরকম গতিতে এগোচ্ছে তাতে তোমার মায়ের সেলিব্রিটি হওয়া প্রায় সময়ের অপেক্ষা। বাবা এটাও জানিয়েছিল, প্রতিদিন ওখানে ৭-৮ ঘণ্টা স্টুডিও তে কাজ হয়।” আর মা কে ফোনে জিজ্ঞ্যেস করলে মা হেসে সেই এক জবাব দিত , আর কটা দিন ব্যাস, তারপর কাজ থেকে ফুরসৎ পেলে, প্রোডাকশন হাউজ এর কাছ থেকে ছুটি নিয়ে অবশ্যই বাড়ি ফিরব, আর তোমাদের নিয়ে কোথাও একটা বেড়িয়ে আসবো।”
মা কাজের জন্য মুম্বাই তে আটকে থাকলেও দিনে একবার অন্তত সময় বার করে আমাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। প্রথম প্রথম দিনে কল করলেও ধীরে ধীরে মা র ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় একটু রাতের দিকেই বাবা কে ফোন করতো। আমি সকালে স্কুল থাকায় তাড়াতাড়ি খেয়ে ডেয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় অধিকাংশ সময় মার সঙ্গে আমার কথাই হতো না।
আমার মা সফল অভিনেত্রী মডেল হতে -মুম্বাই যাবার ঠিক আড়াই মাস পর, হটাৎ একদিন আমাদের কে বহু প্রতীক্ষিত গুড নিউজ দেয়। যে একটা মডেলিং কমার্শিয়াল ইভেন্ট এর কাজ নিয়ে চারদিনের সফরে মা শহরে ফিরছে। কাজ নিয়ে শহরে আসলেও এইবার মা আমাদের বাড়িতে ফিরবে। কটা দিন আমাদের সঙ্গে কাটাবে। এই খবর শুনে বাবা আমি দুজনেই ভীষণ খুশি ছিলাম। মা ফোনে এটাও জানিয়েছিল, ” আমাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে আসবার কোনো দরকার নেই। আমি যথা সময় ল্যান্ড করে প্রথমে একটা হোটেলে গিয়ে উঠব। সেখানে এক বিখ্যাত বহুজাতিক সংস্থার প্রতিনিধির সাথে মিটিং সেরে, আমি নিজেই গাড়ি নিয়ে বাড়িতে চলে আসবো।”